মহামারি করোনার কারণে দীর্ঘদিনের লকডাউন শেষে চালু হওয়া গণপরিবহনে যাত্রী হয়রানি ও ভাড়া নৈরাজ্য চরমে পৌঁছেছে। তাই গণপরিবহনে যাত্রী হয়রানি ও ভাড়া নৈরাজ্য রুখতে পরিবহন মালিক শ্রমিক সংগঠন ও সরকারের সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বিশিষ্টজনরা। সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত যাত্রী অধিকার দিবস উপলক্ষে ‘যাত্রী হয়রানি ও ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধের কার্যকর পদক্ষেপ চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশিষ্টজনরা এ হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
গণপরিবহনে যাত্রী হয়রানি, ভাড়া নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা, সড়কে দুর্ঘটনা, অন্যায্য ও অগ্রহণযোগ্য কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দাবি আদায়ের প্রতীকী দিবস হিসেবে দেশে তৃতীয়বারের মতো যাত্রী অধিকার দিবস পালিত হলো। আলোচনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘সড়কে বারবার মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। নিরাপদ সড়কের কথা বলা হচ্ছে, আবার সড়কে নৈরাজ্যও আমরা দেখতে পাচ্ছি। এ দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে হাজারো মানুষ মারা যান। অথচ করোনায় প্রথম বছরে মারা গেছেন ছয় হাজার মানুষ। পৃথিবীর সব দেশের মধ্যে বাংলাদেশে সড়কে নৈরাজ্য, হয়রানি এবং ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এসব সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব সরকারের।
রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলে মামলা হলেও মানুষ বিচার পায় না। পরিবহন খাতে অসম প্রতিযোগিতা চলছে। এসব নৈরাজ্য বন্ধ করতে হবে। এ দাবি শুধু আমার নয়, এ দেশের ১৭ কোটি মানুষের।’ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘সড়কে প্রতিমাসে ৩০০ কোটি টাকার চাঁদাবাজি হচ্ছে। নতুন সড়ক পরিবহন আইন হয়েছে কিন্তু তা কার্যকর হতে দেখছি না। এ আইনে লাইসেন্স পারমিটের জন্য দুই হাজার টাকার বদলে ১০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হচ্ছে। তাহলে কি আমরা ঘুষের টাকা বাড়ানোর জন্য আন্দোলন করেছি?’